কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ ও চিকিৎসা
কোলন ক্যান্সার একটি ঝুঁকিপূর্ণ টিউমার, যা সাধারণত পলিপ নামে পরিচিত ছোট এবং নিরাপদ কোষের গুচ্ছ থেকে গঠিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এটি পলিপ হিসেবে দেখা গেলেও সময়ের সাথে সাথে এটি ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে কোলন ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার হিসেবে পরিচিত, যা
মোট ক্যান্সার আক্রান্তদের প্রায় ১০%।
প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১৯০,০০০ নতুন কোলন ক্যান্সারের রোগী শনাক্ত হয়। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলিতে কোলন ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব প্রতি বছর বাড়ছে। বাংলাদেশেও কোলন ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে, তবে এটি এখনও অন্যান্য ক্যান্সারের
তুলনায় কম। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিবছর কোলন ক্যান্সারের প্রায় ১৫-২০% রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যদিও বাংলাদেশের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন, তবে শহরাঞ্চলে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্বে কোলন ক্যান্সারের কারণে বছরে প্রায় ৯০০,০০০ মৃত্যু ঘটে এবং এই সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্ক্রীনিং এর মাধ্যমে এই মৃত্যু হার কমানো সম্ভব। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই ব্লগে আমরা কোলন ক্যান্সার কি? কেন হয়? প্রাথমিক লক্ষণ এবং তার চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
কোলন ক্যান্সার কী?
কোলন বা বড় অন্ত্র মানবদেহে পরিপাকতন্ত্রের চূড়ান্ত অংশ। এটি পরিপাক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলনের কোনো অংশ যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়,
তবে তা কোলন ক্যান্সার হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই ক্যান্সারটি সাধারণত কোলনের অভ্যন্তরে ছোট পলিপ বা টিউমারের মাধ্যমে শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। কোলন ক্যান্সারের কারণে অন্ত্রের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং সঠিক সময়ে যদি
চিকিৎসা না করা হয় তাহলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
কোলন ক্যান্সার কেন হয়?
কোলন ক্যান্সার এমন একটি জটিল রোগ, যার সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ এবং ঝুঁকি ফ্যাক্টর রয়েছে, যা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। নিম্নলিখিত
কিছু প্রধান কারণ এবং ঝুঁকি ফ্যাক্টরগুলি কোলন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে:
- ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
- পরিবারে কেউ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- চর্বিযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ।
- ধূমপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- শারীরিক কসরত না করা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্রন’স ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিস মতো ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ।
- ফ্যামিলিয়াল অ্যাডেনোম্যাটাস পলিপোসিস (FAP) বা লিনচ সিনড্রোম।
কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?
কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও ক্যান্সারযুক্ত পলিপের অবস্থান ও আকারের ওপর ভিত্তি করে এর লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্কতা সংকেত এবং লক্ষণগুলি হলো:
- মলের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মলদ্বারে রক্তের দাগ দেখা।
- নিচের অংশে অস্বস্তি বা তীব্র ব্যথা অনুভব করা।
- পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাসের কারণে অস্বস্তি।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো পরিবর্তন।
- কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই দ্রুত ওজন কমে যাওয়া।
- নিয়মিত অজ্ঞানতা, দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা।
- মলত্যাগ করার সময় ব্যথা অনুভব করা।
- রক্তস্বল্পতা, যা অ্যালসার বা রক্তপাতের কারণে হতে পারে।
- শরীরের স্বাভাবিক কার্যাবলী পরিবর্তিত হওয়ায় উদ্বেগ বা আতঙ্ক অনুভব করা।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি রোগের স্তর ও অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করা এবং রোগীকে সুস্থ
করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসব পদ্ধতি একসাথে বা আলাদাভাবে প্রয়োগ করা হয়।
- সার্জারি: ক্যান্সারযুক্ত অংশ অপসারণ করা।
- কেমোথেরাপি: এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে বা বৃদ্ধির হার কমাতে ব্যবহৃত হয়।
- রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়।
- টার্গেট থেরাপি: এটি বিশেষ ক্যান্সার কোষে আক্রমণ করে তাদের বৃদ্ধিকে থামায়।
- ইমিউনোথেরাপি: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সহায়তা করে।
- হরমোন থেরাপি: ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
কোলন ক্যান্সারের চারটি ধাপ কি কি?
কোলন ক্যান্সারের চারটি ধাপ (স্টেজ) রয়েছে। ধাপগুলো রোগের অবস্থান ও বিস্তারের ওপর নির্ভর করে:
- স্টেজ ১: ক্যান্সার কেবল কোলনের অভ্যন্তরীণ স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে। এটি খুবই প্রাথমিক পর্যায় এবং পাশের টিস্যু বা অঙ্গগুলোর দিকে ছড়ায় না। এই স্তরে ক্যান্সার সাধারণত খুব সহজেই চিকিত্সা করা যায়।
- স্টেজ ২: ক্যান্সার কোলনের বাইরের স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি এখনও পাশের লিম্ফ নোডে বা অন্য অঙ্গে ছড়ায় না। এই পর্যায়ে ক্যান্সার কিছুটা বিস্তার লাভ করে, তবে শরীরের অন্যান্য অংশে পৌঁছায় না।
- স্টেজ ৩: ক্যান্সার কোলন থেকে পাশের লিম্ফ নোডে ছড়িয়ে পড়ে, তবে এটি অন্য অঙ্গ বা টিস্যুতে পৌঁছায় না। এই ধাপে ক্যান্সার অনেকটা অগ্রসর হয়ে যায় এবং সাধারণত কেমোথেরাপির প্রয়োজন হয়।
-
স্টেজ ৪: এটি কোলন ক্যান্সারের সবচেয়ে গুরুতর পর্যায়। ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অঙ্গে, যেমন যকৃত, ফুসফুস বা হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ক্যান্সার পুরো শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে
পড়ে।
কোলন ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে করণীয়
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে, আর তা হলো:
- ফল, শাকসবজি এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ধূমপান এবং মদ্যপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
- স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানো কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- কোলন ক্যান্সারের স্ক্রীনিং নিয়মিত করা, বিশেষ করে ৫০+ বয়সীদের জন্য জরুরি।
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা পরবর্তী যত্ন
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষে, রোগীদের কিছু পরবর্তী যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি:
- নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ এবং স্ক্রীনিং পরীক্ষা করা জরুরি।
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম কোলন ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়তা করে।
- ফাইবার, ফল ও শাকসবজি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- মানসিক চাপ কমানো এবং পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির পর উপসর্গগুলো মনিটর করা প্রয়োজন।
- স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা জরুরি।
- ধূমপান, মদ্যপান ও চিনি পরিহার করা উচিত।
বাংলাদেশে কোলন ক্যানসারের চিকিৎসায় খরচ কেমন?
বাংলাদেশে কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন:
- চিকিৎসার ধরণ: সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে খরচ পরিবর্তিত হয়।
- হাসপাতালের মান: সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের ওপর খরচ নির্ভর করে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।
- ডাক্তার ও মেডিকেল টিমের ফি: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল টিমের ফি খরচ বাড়াতে পারে।
- ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা: কোলন ক্যান্সারের স্ক্যান, পেটের আলট্রাসাউন্ড অথবা বায়োপসি ইত্যাদি পরীক্ষা খরচ বাড়ায়।
- আন্তর্জাতিক চিকিৎসা: যদি বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে খরচ আরও বেশি হতে পারে।
সাধারণত কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এটি রোগের স্তর, চিকিৎসার ধরণ এবং হাসপাতালের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়।
কোলন ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ | ডাঃ তারিক আখতার খান
ডাঃ তারিক আখতার খান বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাইলস বিশেষজ্ঞ এবং কলোরেক্টাল সার্জন। কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় একাধারে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার জন্য তিনি সুপরিচিত। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমান
সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এই বিষয়ে তার ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
- কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা।
- ৯,০০০+ সফল এনাল সার্জারি।
- ৭০০+ কোলন ক্যান্সার সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন।
- গবেষণা ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি নিবেদিত।
- রয়্যাল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ গ্লাসগোর ফেলো।
- বিএসএমএমইউ সার্টিফাইড মাস্টার কোলোরেক্টাল সার্জন।
- ধানমন্ডি ডায়াগনস্টিক ও কনসাল্টেসন সেন্টার, ইমপালস হাসপাতাল, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট।
- মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক।
কোলন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসার গুরুত্ব
কোলন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এবং চিকিৎসার বিষয়ে সচেতনতা থাকা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সুস্থতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা,
সঠিক জীবনধারা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস এই রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। সঠিক সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত আপনাকে সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারে।
ডাঃ তারিক আখতার খান একজন শীর্ষস্থানীয় কলোরেক্টাল সার্জন, কোলন ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় অভিজ্ঞ। তার উচ্চ সাফল্যের হার এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আপনাকে
সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করতে পারে। আপনার যদি কোলন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা দেয় বা স্ক্রীনিং করাতে চান, তাহলে আর দেরি না করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
কোলন ক্যান্সার সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
সাধারণত কোলন ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ডাক্তাররা কোলোনোস্কপি, সিটি স্ক্যান, এবং রক্ত পরীক্ষার মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। কোলোনোস্কপির মাধ্যমে কোলনের ভেতরের অবস্থা সরাসরি দেখা যায়।
যদি আপনার হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে, পেটে ব্যথা অনুভব না করেন, এবং মল ত্যাগে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার কোলন সুস্থ আছে।
কোলন ক্যান্সার সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সে দেখা যায়। তবে জিনগত কারণে অল্প বয়সেও ঝুঁকি থাকতে পারে।
কোলন ক্যান্সার হলে সাধারণত আপনার পেটের নিচের অংশে বা সাইডে ব্যথা হতে পারে।
ফল, শাকসবজি, ফাইবারযুক্ত খাবার, এবং প্রচুর পরিমানে পানি কোলনের জন্য ভালো। তবে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লাল মাংস কম খাওয়াই ভালো।