কোলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগীর একটি কেস স্টাডি: মিজানুর রহমান
কোলোরেক্টাল স্বাস্থ্য স্বাভাবিক জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করার জন্য, কোলোরেক্টাল স্বাস্থ্যের সমস্যা অনুভব করার সাথে সাথেই সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সচেতনতা ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে আমরা আমাদের একজন কোলোরেক্টাল ক্যান্সার রোগীর সম্পূর্ণ কেস স্টাডির উল্লেখ করেছি:
ডা: তারিক আখতার খানের সাথে রোগীর যাত্রা
আমাদের একজন রোগী মিজানুর রহমান, তিনি ২০২০ সালে আমাদের কাছে যখন আসেন, তখন তার বয়স ৫০ বছর। তিনি কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহে আমাদের সেন্টার রাবেয়া হাসপাতালে আসেন, তার মলে রক্ত যাওয়ার উপসর্গ নিয়ে। তখন তাকে ডাক্তার যে পরামর্শ দেন, তিনি তা অনুসরন না করে দীর্ঘদিন পর ২০২৪ সালে আবার আসেন। আমরা এখানে রোগীর তথ্য, উপসর্গ, চিকিৎসা প্রক্রিয়া, পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার ফলাফলের বিবরণ পেশ করছি:
- নাম: মিজানুর রহমান
- বয়স: ৫০ বছর
- জেলা: কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা
২০২৪ সালে তিনি আবার অসুস্থতা অনুভব করেন, তার মলের সাথে রক্ত যাওয়ার উপসর্গ নিয়ে আসেন। এবার তিনি আমাদের বর্তমান ঠিকানা ধানমন্ডি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আসেন। আমাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো:
- উপসর্গ: মল ত্যাগ করার সময় রক্তপাত।
- প্রয়োজনীয় পরীক্ষা: সম্পূর্ণ কোলনোস্কোপি
- রোগ নির্নয়: তিনি যখন দ্বিতীয়বার আসেন, তখন আমরা দুটি পলিপ পেয়েছি, একটি মলদ্বারে এবং একটি সিগমায়েড কোলনে।
- আমাদের চিকিৎসা: যখন পুনরায় আসেন তখন আমরা কোলনোস্কোপির সময় উভয় পলিপ একসাথে সরিয়ে ফেলি। আমরা রিপোর্ট করেছি যে এই পলিপটি অ্যাডেনোমেটাস ছিল, যার অর্থ এটি ক্যান্সারে পরিণত হবে যদি চিকিৎসা না করা হয়। এক্সাইজড পলিপের হিস্টোপ্যাথলজিকাল রিপোর্ট আমাদের সন্দেহকে ১০০% সঠিক বলে প্রমাণ করেছে। এভাবে আমরা আমাদের চিকিৎসা সম্পন্ন করি এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
জনাব মিজানুর রহমান আমাদের কোলনোস্কোপি দক্ষতা দেখে অবাক হয়েছিলেন কারণ ২০২০ এবং ২০২৪ সালে উভয় ক্ষেত্রেই কোলনোস্কোপিতে আমাদের রোগনির্নয় পলিপের হিস্টো রিপোর্টের সাথে ১০০% মিলে গিয়েছিল। ব্যথাহীনভাবে এবং কোনো জটিলতা ছাড়াই পদ্ধতিটি করার জন্য তিনি আমাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আমাদেরকে তথ্য প্রকাশ করার অনুরোধ করেছেন যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারে।